জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে।
কোভিড-১৯ কালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বৃহস্পতিবার তিনি একথা বলেন। শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আন্তর্জাতিক ফেডারেশন (আইএফআরসি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগাল ও মরক্কো মিশন এবং ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপের কো-চেয়ার।
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকায় সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান জানানোর কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি নাজুক পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা, ওষুধ ও সরঞ্জামাদির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান।
এ ছাড়া বিশ্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নাজুক পরিস্থিতির শিকার অভিবাসীদের জন্য সেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।
করোনার কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বলেন, গত জুন মাসে ‘অভিবাসীদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১০৩টি দেশ এই নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানায়।
বিবৃতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নীতি এবং পরিকল্পনায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্য চাহিদার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অভিবাসী এবং বিদেশফেরত অভিবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অভিবাসনের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবান অভিবাসীই কর্মক্ষম অভিবাসী’। তিনি আইওএম, আইএফআরসি ও ডব্লিউএইচওকে এ বিষয়ে উত্তম অনুশীলন ও নীতি পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া সর্বত্র অভিবাসীদের অধিকার, কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা মোকাবিলার জন্য সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন রাবাব ফাতিমা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আইএফআরসির সভাপতি এবং আইওএমের মহাপরিচালক বক্তব্য রাখেন ।