ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সরকারি কাজে বাধা ও দুই র্যাব সদস্যকে মারধরের মামলায় আসামি বন্দর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার সকালের ওই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে আরিফুর রহমানসহ তিন জনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আওয়ামী লীগ নেতা ইকরাম।
গ্রেফতার অন্য দুই আসামি হলেন- উপজেলা চরচাতলা ইউনিয়নের আরিয়ান সাবের ওরফে চঞ্চল ও উপজেলা আড়াইসিধা ইউনিয়নের সালাউদ্দিন মিলন।
সরকারি কাজে বাধা ও র্যাব সদস্যকে মারধরের ঘটনায় চার জনের নামে মামলা করেছে র্যাব।
মামলায় বলা হয়, বুধবার র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের দুই সদস্য আশুগঞ্জ মুন্সি মার্কেটের একটি দোকানের সামনে তাদের মোটরসাইকেল রাখেন। ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে আরিফুর রহমানসহ কয়েকজন সেখানে যান।
আরিফুর র্যাব সদস্যদের মোটরসাইকেলটি সরাতে বলেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আরিফুর তার সঙ্গীদের নিয়ে র্যাব সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, আসামি ইকরামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফি উদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের নিউজবাংলাকে বলেন, আসামিকে ধরতে পুলিশ সহাযোগিতা চাইলে র্যাব অভিযান চালাবে।