গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে থাকা হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর শারীরিক অবস্থা অবনতির পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এই নেতা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতের নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী। তার সর্দি-ঠান্ডা ও ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত সমস্যা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হেফাজতের পক্ষ থেকে।
কাসেমীর করোনা পরীক্ষা করা হলেও ফল নেগেটিভ এসেছে বলেও জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
ইউসুফী বলেন, ‘ওনার এটা অনেক পুরানা রোগ। মাঝেমধ্যে হাসপাতালে যান। এখন একটু বেশি হয়ে গেছে। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।’
কাসেমীকে গত ১ ডিসেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ তারেক আলম এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে হাই ডিপেন্ডসি ইউনিট (এইচডিইউ)তে নেয়া হয়। সন্ধ্যার পর নেয়া হয় সিসিইউতে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় আইসিইউতে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কাসেমীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী।
কাসেমী রাজধানীর বারিধারার ঢাকা জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের সঙ্গেও জড়িত।
কাসেমী অসুস্থ থাকায় ভাস্কর্য ইস্যুতে গত ৫ ডিসেম্বর তাকে বাদ দিয়েই বৈঠক করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক আলেমরা। বৃহস্পতিবার হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাসেমী হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বরের সম্মেলনে তাকে কেন্দ্রীয় মহাসচিব করা হয়। যদিও এই কমিটি নিয়ে সংগঠনের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে।