নাটোর সদর হাসপাতালে বাথরুমের জানলার সানসেট থেকে এক মেয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির মা নিজেই তার বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মা মানসিকভাবে অসুস্থ।
শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মরদেহ হাসপাতালের লোকজনের নজরে এলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এই ঘটনায় শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তারা হলেন নাটোর সদর উপজেলার নেগুড়িয়া এলাকার রাজিব ও লালপুর উপজেলার আবদুলপুরের বড়বাড়ীর এলাকার সুইটি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদে বাচ্চাটি নিজেদের বলে জানিয়েছেন তারা। কেন মেয়েটিকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হলো, সে বিষয়ে তারা কী বলেছেন, সেটা অবশ্য পুলিশ জানায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন সুইটি। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় সুইটি হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের বাথরুমে বাচ্চা প্রসব করেন। পরে তিনি বাচ্চাটিকে বাথরুমের জানালা দিয়ে ফেলে দেন। মৃতদেহটি জানালার কার্নিশে আটকে যায়। রাতে সুইিটর স্বামী রাজিব হাসপাতালেই ছিলেন।
তবে প্রসবের সময় নবজাতকটি জীবিত ছিল কি না তা এখনও জানা যায়নি।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনসারুল ইসলাম হক বলেন, পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বোঝা যাচ্ছে সুইটি মানসিক ভারসাম্যহীন।’