বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নামের মিলে ১ মাস ৯ দিন জেলে

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৫৯

নারায়ণগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত আসামির নাম ইকবাল ওরফে দিপু। বাড়ি ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুরের বটতলা গ্রামে। বাবার নাম ইউসুফ আলী সরদার। তার বদলে গ্রেফতার করা হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দনলপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনকে। তার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা।

নারায়ণগঞ্জে মাদকের মামলার আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় এক রং মিস্ত্রি এক মাস ৯ দিন জেল খেটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

মাদকের মামলার ওই আসামির নাম ইকবাল ওরফে দিপু। এজাহার অনুযায়ী, তার বাড়ি ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুরের বটতলা গ্রামে। বাবার নাম ইউসুফ আলী সরদার।

ফতুল্লা থানায় করা ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায় জারি করে নারায়ণগঞ্জের একটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

কিন্তু তার বদলে গ্রেফতার করা হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দনলপুর গ্রামের রং মিস্ত্রি ইকবাল হোসেনকে। তার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তাকে ২১ অক্টোবর রাতে গ্রেফতার করেন ফুতল্লা মডেল থানার উপপরির্দশক এসএম শামীম। পর দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ৩০ নভেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন।

 

জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিনা দোষে দেড় মাস জেল খাটছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আরেক জনের মামলা থেকে মুক্তি চাই।’

ইকবালের মা বলেন, ‘আমার ছেলে একটি ডিম আইন্না ভাইজ্জা দিতে কইছিল। ওই সময় শাকিল নামের এক সোর্স দারোগারে বাড়িত নিয়া আইছে। পরে পুলিশ আমার ছেলেরে ধইরা নিয়া গেছে।  আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে পুলিশের কাছে জানতে চাইছিলাম, দারগা শামীম কইল ওর নামে ওয়ারেন্ট আছে। আমার ছেলে কী অপরাধ করছে যে আরেক বেডার মামলায় পুলিশ ওরে আসামি বানায় দিছে? ’

মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক এসএম শামীম বলেন, ‘যদি এ ধরনের ঘটনা হয় তাহলে তার পরিবার থানায় চ্যালেঞ্জ করতে পারত। আদালতে বলতে পারত। এরপর তিনি মোবাইল কেটে দেন। আবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।’

রং মিস্ত্রি ইকবাল হোসেনের আইনজীবী সাইদুল ইসলাম জানান, ‘একটি গরিব ছেলেকে অন্য জনের মামলায় পুলিশ এভাবে ফাঁসিয়ে দিতে পারে না। তার পুরো নামের সাথে ও তার বাবার নামের সাথে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আসামির মিল নেই।’

তিনি বলেন, এই মামলার প্রকৃত আসামি ইকবাল দিপু আদালতে কয়েকবার হাজিরা দিয়েছিলেন। তিনি আদালত থেকে জামিনও নিয়েছিলেন। পরে আত্মগোপনে চলে গেলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করে।  

কারাগারে ইকবাল হোসেনকে দেখানো হয় মো. ইকবাল ওরফে দিপু হিসেবে। ছবি: নিউজবাংলা

 

 

আইনজীবী আরও বলেন, ‘৩০ নভেম্বর ফতুল্লা আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না। তাই অন্য আদালতকে বিষয়টি অবহিত করে ইকবালের জামিন নিয়েছি। পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে ইকবাল হোসেনকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করব। একই সাথে ফতুল্লা থানার দারগার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাব।’

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, ‘কাউকে গ্রেফতারের পর তার সম্পর্কে নানা তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়। তারপরও যদি নামের ভুলে এক জনের পরির্বতে অন্য জনকে ধরে আনার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা তদন্ত করে সেই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’

এর আগে ফতুল্লা থানায় করা একটি অপহরণ মামলায় মামুন নামের এক যুবককে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ এনে ছয় জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কথিত নিহত সেই মামুন নিজেই আদালতে হাজির হন। আদালত এ মামলায় অভিযুক্ত ছয় জন অব্যাহতি দেয়। তদন্ত কর্তকর্তাদের বিরুদ্ধে পরে আদেশ হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত।

এরও আগে সদর মডেল থানার আরেক এসআই শামীম আহম্মেদ এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মো. রকিব, খলিলুর রহমান ও আব্দুল্লাহ নামের তিন জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে মারধর করেন। পরে তাদের মধ্যে খলিলুর ও আব্দুল্লাহ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।

কিন্তু এ ঘটনার কিছুদিন পর ফিরে আসে আসে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এখন বিভাগীয় মামলার আসামি।

এ বিভাগের আরো খবর