পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটি বসার পর প্রায় সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দৃশ্যমান হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানের পর বৃহস্পতিবার দলটির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এই অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘এটা হতে যাচ্ছে এ জন্য আমরা অবশ্যই সরকারকে অভিনন্দন জানাই।’
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সেতুটি নানা কারণে রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। দুর্নীতি চেষ্টার কথা বলে বিশ্বব্যাংকের বায়বীয় অভিযোগের পর সরকার নিজের টাকায় সেতু নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর একটি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে নানা কথা বলেন অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক দলগুলো। বলা হচ্ছিল, বিশাল এই প্রকল্পে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ঢালা হলে সে চাপ নিতে পারবে না বাংলাদেশ।
তবে এই আশঙ্কার কোনোটি সত্য প্রমাণ হয়নি। আর এর মধ্যে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ কানাডার আদালতে মিথ্য প্রমাণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি গালগপ্পের অভিযোগ তুলেছে- এমন মন্তব্যও করেছেন সে দেশের বিচারক।
এই রায়ের পর শেখ হাসিনা সরকার অনেক নির্ভার হয়। যদিও নদীর তলদেশে মাটির গঠনজটিত সমস্যার কারণে ১৪টি স্প্যান বসানো নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। সেটাও কাটাতে হয়েছে।
সব মিলিয়ে সরকারের সমালোচকরাও এই সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
জি এম কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু সব সময় আমাদের চাওয়ার বিষয়। দক্ষিণবঙ্গে মানুষের জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার শুভ প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়বে বলে আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলি। পদ্মা সেতু প্রকল্প সরকারের একটা ভালো উদ্যোগ। এটা হতে যাচ্ছে এ জন্য আমরা অবশ্যই সরকারকে অভিনন্দন জানাই।’
জি এম কাদের বলেন, ‘অর্থনীতিবিদদেরও বিশ্লেষণ হলো, এটা হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটা অগ্রযাত্রা হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সরকার এটা করতে সক্ষম হয়েছে এটাও একটা বড় অর্জন।’