বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মায় আরও দেড় বছরের অপেক্ষা

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৩০

দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরের অংশে চলবে গাড়ি, আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। এখন ওপরের অংশে রোড স্ল্যাব আর নিচের অংশে রেল লাইন বসানোর কাজ চলছে। সরকার প্রথম দিন থেকেই ট্রেন ও গাড়ি এক সঙ্গে চালুর ঘোষণা দিয়েছে আগেই।

পদ্মা নদীতে সেতুর সব স্প্যান বসে যাওয়ায় কাঠামোর পুরোটাই দৃশ্যমান হলেও যান চলাচল শুরু হতে আরও দেড় বছরের মতো সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

পদ্মা সেতুর দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাবেক সেতু সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমার-আপনার সবার স্বপ্ন। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে এই সেতু চালু হবে বলে আমি ধারণা করছি। তখন থেকেই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত হবে।’

বৃহস্পতিবার সেতুর ৪১ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মার বুকে যখন একটি কর্মযজ্ঞের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছিল, তখন রাজধানীতে অর্থ বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরের অংশে চলবে গাড়ি, আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। এখন ওপরের অংশে রোড স্ল্যাব আর নিচের অংশে রেল লাইন বসানোর কাজ চলছে। সরকার প্রথম দিন থেকেই ট্রেন ও গাড়ি এক সঙ্গে চালুর ঘোষণা দিয়েছে আগেই।

বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর ৪১ তম স্প্যান বসানোর পর ৬.১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুটিই দৃশ্যমান হয়েছে

 

গত ৭ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ১০ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে তাকে জানিয়েছেন সেতু সংশ্লিষ্টরা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানালেন, আরও কিছুদিন বেশি সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ‘আই থিঙ্ক, বাই জুন ২০২২, উই উইল ওপেন দ্য পদ্মা ব্রিজ।’

করোনা মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘দুই পারের সংযোগের মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতু আজ বিশ্ববাসীর কাছে দৃশ্যমান। দেশে একজন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় রয়েছেন বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই অর্জন দেশের আর্থিক সক্ষমতারও প্রতীক।’

পদ্মা সেতুর ৪১ তম স্প্যানটি জোড়া লাগানো হচ্ছে

 

মন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে একটি পদ্মা সেতু বিশ্ববাসীর কাছে বাস্তবে দৃশ্যমান করার ঘটনা একেবারেই ভিন্ন মর্যাদার। বিশ্ব যাকে অসম্ভব বলেছিল, শেখ হাসিনার সাহসী মনোভাব সেই পদ্মা সেতুর বাস্তবে রূপ দিয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতার মাত্রা প্রমাণ করেছে।’

সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসী নাহার, ইকোনোমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির এবং ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক।

এতে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

পদ্মা সেতুতে শেষ স্প্যান বসানোর দিন ঢাকায় করোনার প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে সেমিনারে ওঠে আসে সেতু প্রসঙ্গ

 

পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টেনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র এবং বাধা অতিক্রম করা গেছে। পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামো এখন দৃশ্যমান।’

করোনা মোকাবেলায়ও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাজুল। বলেন, প্রায় এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজের বাস্তবায়ন এখনো চলছে। এসব প্রণোদনা সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে দেশে রফতানি, বেসরকারি ঋণপ্রবাহ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও দারিদ্র্যের হার নিম্নমুখী রাখা সম্ভব হয়েছে।

এলজিআরডি মন্ত্রী দাবি করেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখন আর শহরকেন্দ্রিক নেয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। এক সময় বহু মানুষ ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জর্জরিত থাকলেও এখন সেটি নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিল্প কল-কারখানা প্রতিষ্ঠাসহ দেশে আজ সমৃদ্ধির বিপ্লব চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর