ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও এতে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতার জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
শুনানিতে আসামিদের আইনজীবী দাবি করেন, বিবাদীরা ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করেননি। তাদের বিরুদ্ধে ঘটনার পর মেসেঞ্জারে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে। তাই এই আইনে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের ভিত্তি নেই।
তবে শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন।
৮ ডিসেম্বর অপর আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের জামিন আবেদনও খারিজ করে আরেকটি আদালত৷
রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে ১১ অক্টোবর রাতে অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এরপর ৪ নভেম্বর বংশাল থানার রায় সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কোতোয়ালি থানায় একই বাদীর অন্য মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠায় আদালত। আর ৯ নভেম্বর সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী লালবাগ থানায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক।
অন্য আসামিরা হলেন সোহাগ, সাইফুল, নাজমুল ও আবদুল্লাহ হিল বাকী। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। এর মধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।