২০২৩ সালের মধ্যে দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূর করার লক্ষ্যে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০’। এ কর্মসূচি চলবে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ছয় সপ্তাহব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর (মাম্পস অ্যান্ড রুবেলা) টিকা দেয়া হবে।
হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ ক্যাম্পেইনের উদ্ধোধন করেন।
এ সময় তিনি কয়েকটি শিশুকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।’
ক্যাম্পেইন চলাকালীন টিকাদান কেন্দ্রগুলো শুক্রবার ও অন্য সরকারি ছুটি ছাড়া সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য অতিরিক্ত টিকা দলের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে সান্ধ্যকালীন সেশন পরিচালনা করা হবে।
সব শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত শিশু, হাসপাতাল, জেলখানা, এমনকি পতিতালয়েও টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর টিকাদান কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সারা দেশে কমিউনিটি পর্যায়ে পরিচালিত হবে ক্যাম্পেইন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমও চালু থাকবে। পূর্ব পরিকল্পিত তিন সপ্তাহের পরিবর্তে ক্যাম্পেইনের সময় বাড়িয়ে ছয় সপ্তাহ করা হয়েছে। ভিড় এড়াতে টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দুই সপ্তাহ সময় নেয়া হবে।
হাম ও রুবেলা প্রতিরোধ ৯৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ডোজে ৭৬.৭৭ শতাংশ ও দ্বিতীয় ডোজে ৫৩.৬ শতাংশ শিশুদের টিকা দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
বাকি শিশুদের টিকা দিতেই আগামী ১২ ডিসেম্বর আবার কার্যক্রম শুরু হবে।