সরকার ও রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় ধর্ষকের সঙ্গে নির্যাতিতার বিয়ে নিপীড়নকে উৎসাহিত করবে। কেবল জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে ধর্ষণের মতো অপরাধ কমাতে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন বরিশাল মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা পুষ্প রানী চক্রবর্তী।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২০ উপলক্ষে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদ।
সম্প্রতি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে বিয়ে করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ফেনীর জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া উদ্দিন। আদালত তাকে এক বছরের জামিন দিয়েছে।
জিয়া ফেনীর সোনাগাজীর ৮ নম্বর চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম চর দরবেশ গ্রামের বাসিন্দা। আদালতের নির্দেশে ১৯ নভেম্বর ফেনীর কারাগারে তার সঙ্গে বিয়ে হয় ধর্ষণের অভিযোগ করা নারীর।
এর আগে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফির মামলা থেকে বাঁচতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের তরুণ সজিব হোসেন লিটন প্রবাসীর সাবেক স্ত্রীকে আদালতে বিয়ে করেন।
১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. অলি উল্লাহ ভুইয়া। কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহ আপস শর্তে তরুণকে জামিন দেন এবং আদালত আঙিনায় বিয়ের নির্দেশ দেন।পুষ্প রানী চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্যাতনকারীর সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে নিয়ে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। আমরা বরাবরই ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা মনে করি নির্যাতন মামলায় আসামির শাস্তি না হলে অপরাধ বাড়বে।’অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের সহসভাপতি ও সনাক জেলা সভাপতি শাহ্ সাজেদা, নারী নেত্রী খালেদা হক, সুরুচি কর্মকার, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কহিনুর বেগমসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।