বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিডিওতে দেখি চিকন, ধরা হয়েছে মোটাদের: হেফাজত

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৫৭

আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি। এটা সাজানো হয়েছে।…ফুটেজে চিকন মানুষ দেখা গেলেও ধরা হয়েছে মোটা আকৃতির মানুষকে। উঠার ফুটেজ আছে নামার নেই: কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারদের বিষয়ে হেফাজত নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলাম দাবি করেছে, এটি তাদের চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তাদের যুক্তি, সিটিটিভি ক্যামেরায় যাদের দেখা গেছে, তারা চিকন গড়নের, কিন্তু যাদেরকে ধরা হয়েছে, তাদের দৈহিক গড়ন মোটা।

গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়ায় পাঁচ রাস্তা মোড়ে এই ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় না হলেও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও চরমোনাইয়ের পীরের ছোট ভাই ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের দুটি মামলা হয়েছে।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন হেফাজতে ইসলাম। মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘দেশবরেণ্য আলেমদের শান্তিপূর্ণ, যৌক্তিক দাবিকে বিতর্কিত করার জন্য কুষ্টিয়ায় কে বা কারা ভাস্কর্য ভাঙচুরের মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। হেফাজতে ইসলাম এভাবে নিজ জাতে আইন তুলে নেয়া কিংবা গোপন তৎপরতার পথ অনুসরণ ও অনুমোদন করে না।’

ভাস্কর্য ইস্যুতে মামলা নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

 

গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে ভাস্কর্য ভাঙচুরের দুই দিন পর সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। পরে পুলিশ জানায়, স্থানীয় ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার দুই ছাত্র ভাস্কর্যটি ভেঙেছে।

এই মাদ্রাসা ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটারের দূর।

পুলিশ সেই মাদ্রাসায় গিয়ে অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে এই দুই জনের পরিচয় জানতে পারে। তারা হলেন হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বক্কর ও মো. নাহিদুল ইসলাম।

 

মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, সেদিন রাতে ভাস্কর্য ভেঙে মাদ্রাসায় ঘুমিয়ে পড়েন দুই ছাত্র। সকালে দুই শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে তারা বিষয়টি জানালে তারা ছাত্রদের বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই দুই শিক্ষককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের শারীরিক গড়ন ছাত্রদের তুলনায় একটু মোটা। আর এই বিষয়টি উল্লেখ করেই হেফাজত নেতা কাসেমি দাবি করেছেন, বিষয়টি সাজানো।

এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি। এটা সাজানো হয়েছে।…ফুটেজে চিকন মানুষ দেখা গেলেও ধরা হয়েছে মোটা আকৃতির মানুষকে। উঠার ফুটেজ আছে নামার নেই।’

ফুটেজটি ঘটনার দুই দিন পর সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার কারণেও কাসেমি ভেবেছেন, এটি তৈরি করা। তিনি বলেন, ‘৩ তারিখের ঘটনা আর ফুটেজ ৫ তারিখের। ছবিতে কারো দাড়ি নেই। আর যাদের ধরা হয়েছে তাদের দাড়ি আছে।’

এই ঘটনায় হেফাজত তদন্ত করবে জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ তাদের তদন্ত করুক আমরা আমাদের টা করব।’

কুষ্টিয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চান কি না-এমন প্রশ্নে নুরুল ইসলাম পাশের বক্তার কাছ থেকে মাইক নিয়ে বলেন তারা সুষ্ঠু বিচারের বিষয়ে কিছু জানেন না আর সেটা তাদের জানার বিষয়ও না।

তিনি বলেন, ‘বিচার হবে, আমরা বিচারের বিপক্ষে না। তদন্ত হলে দেখা যাবে।’

‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভয়াবহ চক্রান্ত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন হেফাজত নেতা। যদিও কী সেই চক্রান্ত, সেটা স্পষ্ট করেনি সংগঠনটি।

কাসেমীর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে, সেটা একটি ভয়াবহ সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের সুস্পষ্ট আলামত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘যা (চক্রান্ত) শুধু হেফাজতে ইসলাম ও এর আমির পর্যন্তই সীমাবন্ধ বলে আমরা মনে করি না। বরং এটা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে।’

সকল মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে ‘চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে’ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর কী করবেন- এমন প্রশ্নে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীরা আছেন। আমরা এটা আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর