আবারও কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
গত চার দিন ধরে দিনের প্রায় অর্ধেক সময় বন্ধ থাকছে ফেরি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই পথে যাতায়াতকারীরা। বুধবার রাত থেকে সাড়ে তিনশ যানবাহন আটকা পড়ে শরীয়তপুর ঘাটে।
খুলনা থেকে আদা নিয়ে আসা ট্রাকচালক হুমায়ুন কবীর নিউজবাংলাকে জানান, কুয়াশায় এমনিতেই ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হয়েছে। এখানে রাত থেকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন। কখন ফেরিতে উঠতে পারবেন জানেন না। এভাবে কাঁচামালের খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার রাত এগারোটার দিকে ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে আবার চালু করা হয় ফেরি। তবে এখনও নদীতে কুয়াশা থাকায় ধীরগতিতে চলছে ফেরিগুলো।
বরিশাল থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছেন মিহির দেবনাথ। কনকনে শীতে বাসের মধ্যে পরিবারসহ রাত কাটাতে হয়েছে তাকে।
মিহির একা নন। এ রকম বহু পরিবারকে ঠান্ডার মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, নৌপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ হয় এই পথে। চলাচল করে ছয়টি ফেরি। কিন্তু ফেরিগুলোতে নেই ফগ লাইট। তাই অল্প কুয়াশাতেও ফেরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
খুলনা থেকে ভাঙ্গারি নিয়ে এসে ঘাটে অপেক্ষা করা স্বপন খান জানান, ঘাটে থাকতে প্রতিদিন বাড়তি খরচ হচ্ছে। আয়ের চেয়ে বেশি খরচই হয়ে যাচ্ছে। ‘এভাবে আর কতদিন চলতে পারে’, প্রশ্ন করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির শরীয়তপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল মোমেন বলেন, ‘কুয়াশা একটি প্রাকৃতিক সমস্যা। এখানে কারো হাত নেই। কুয়াশা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ফেরি চালু করার অনুমতি দিয়ে দেই।
আবদুল মোমেন জানান, ফগ লাইটের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। লাইট পাওয়া গেলে এ দুর্ভোগের কিছুটা লাঘব হবে।