সব অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। জোড়া লাগতে যাচ্ছে প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড়। সব অনিশ্চয়তা মিথ্যা প্রমাণ করে অবিশ্বাস্য এক স্বপ্ন বাস্তবায়নের একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতুতে বসতে যাচ্ছে ৪১তম স্প্যানটি। ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে স্প্যানটি বসার সঙ্গে সঙ্গেই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে মাদারীপুরের জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়ে যাবে পুরো সেতু। বহুল কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যটি দেখতে উন্মুখ দেশবাসী।
৪ ডিসেম্বর ৪০তমটি স্প্যানটি বসানোর পর পদ্ম সেতুর শেষ স্প্যান নিয়ে মানুষজনের আগ্রহের মাত্রা আরও বাড়ে। ওই দিনই জানানো হয়েছিল, শেষ স্প্যান বসবে ১০ বা ১২ ডিসেম্বর। সেই অনুযায়ীই নেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি।
শেষ স্প্যানটি পাঠানোর আগে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে তৈরি হয় আনন্দঘন মুহূর্ত। স্প্যানটি সাজানো হয় বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা দিয়ে।
স্প্যানের গায়ে চীনা ও বাংলা হরফে লেখা হয়েছে, ‘তিন বছরের প্রচেষ্টায় দেশি ও বিদেশি শ্রমশক্তির মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ বাস্তবায়নের পথে। সেতুর ৪১টি ইস্পাতের তৈরি স্প্যান সোনার বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলকে সংযুক্তির মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের বন্ধনকে অটুট রাখবে।’
এটিই পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান। ছবি: সাইফুল ইসলাম
সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। শেষ স্প্যান বসানোর পর পুরোটাই দৃষ্টিসীমার মধ্যে চলে এলেও সেতুটি চালুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ১০ মাস থেকে এক বছর।
পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোতে থাকছে কংক্রিট ও স্টিল। সেতুর ওপরের অংশে তৈরি হচ্ছে সড়ক পথ। নিচ তলায় রেলপথ।