বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষকের দখলে জমি, ২৫ পরিবারের ঘর নির্মাণ বন্ধ

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:১০

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান সম্প্রতি এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। কিন্তু খাস জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে তিনিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধার মুখে পড়েন।

এক জন স্কুলশিক্ষক লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিরহাটে সরকারি খাস জমি দখল করে রাখায় ২৫ ভূমিহীন পরিবারের ঘর নির্মাণ করে দিতে পারছে না সরকার।

জমি উদ্ধারের দাবিতে সোমবার দুপুর ভূমিহীন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ইজারা নেয়ার নাম করে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী গ্রামের হাজিরহাট এলাকার বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা এই খাস জমি দখল করেছেন।

অথচ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২৫ ভূমিহীন পরিবারের জন্য ২৫টি ঘরনির্মাণে ৫৩ শতক খাস জমি বরাদ্দ দেয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান সম্প্রতি এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। কিন্তু খাস জমিতে ঘর তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় টিনের দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের আরও অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে সেই ইট ও টিন দিয়ে হাজিরহাট মোড়ে রেফাজ মোল্লা নামে একটি বিশাল মার্কেট করেছেন।

বেদখল জমি উদ্ধার করে ঘর নির্মাণের দাবিতে লালমনিরহাটে ঘর হারা মানুষদের মানববন্ধন

 

প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি রাস্তার পাশের গাছ কেটে হাজিরহাটে ২০টি দোকান নির্মাণ করেছেন। মাস্টার মোড়ে নির্মাণ করেছেন আরও ৩০টি দোকান। সরকারি খাস জমি দখল করে মোটা অঙ্কের টাকা লোপাট করছেন। তিনি ভূমিহীন হিসেবে বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ৩৫ শতাংশ জমির আবেদন করেছেন। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ জমি তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক আয়শা বেগমের এবং ছেলে সাগরের নামে আরও ১৫ শতাংশ জমির আবেদন করেছেন। কিন্তু ওই জমি সাত্তার নামের এক গরিব অসহায় ব্যক্তির।

উপজেলা ভূমি অফিসের তুষভান্ডার ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আ. কাদের বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক অনেক খাস জমি দখল করেছেন। আমরা লাল নিশান টাঙিয়ে ২৫টি ভূমিহীন পরিবারকে দেয়া বরাদ্দের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু নজরুল জমিটি দখল করে নেয়ায় এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।’

ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, ‘আমি জায়গাটিতে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক জায়গাটি আবার দখল করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তবে আমরা জায়গাটি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। কেউ আটকাতে পারবে না।’ 

প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি ওই জায়গা ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। আমি তা ভোগদখল করছি।’  

তবে ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, শিক্ষক নজরুল ভুয়া কাগজ তৈরি করে ওই খাস জমি দখল করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর