রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক তৌহিদা বেগম।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। একইদিনে আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন ৷ এ সময় আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ রেখেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার ৮/৯ বছর আগে মেয়েটির বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সে তার দাদির কাছে থাকত। বিচ্ছেদের পর তার বাবা আরেক নারীকে বিয়ে করেন।
গত বছরের এপ্রিল মাসে মেয়েকে নিয়ে বাবা রূপনগরের একটি বস্তিতে যান। এ নিয়ে তার সৎ-মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে ২ মে মেয়েকে নিয়ে ওই ব্যক্তি বাড্ডায় বাসা ভাড়া নেন। গত ৪ মে এবং ৫ মে আসামি সেখানেই নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটি বাড্ডা থানায় বাবার নামে ধর্ষণের মামলা করেন। এ পর্যায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ মে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে ৯ মে আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবিন্দ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরান আহম্মেদ ওই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গত ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।