'পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ক্ষমতা হস্থান্তরের পর থেকে ত্রিশ বছর যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে।' এ মন্তব্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের।
মঙ্গলবার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা গণফোরাম সভাপতি কাজী মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের ডাক্তারি সার্টিফিকেট বিদেশে গ্রহণ করছে না। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, হঠাৎ করে কেউ কেউ গ্রেফতার হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার দুর্নীতিবাজরা কোট-টাই পড়ে ঘুরে বেড়ায়।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি হচ্ছে জনসাধারণের একমাত্র বিকল্প শক্তি। তিনি বলেন, 'মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অভিযানে বিচারবহির্ভূতভাবে কয়েক শ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। কিন্তু মাদকের প্রসার কি কমেছে? কেউ দাবি করতে পারছে না দেশে মাদকের বিস্তার রোধ হয়েছে। '
জি এম কাদের বলেন, 'জাতীয় পার্টি কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল না। দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহতের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। '
তিনি বলেন, রাজনীতির মূল কর্মকাণ্ডে রয়েছে নির্বাচন। কিন্তু দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা স্পষ্ট। এ কারণে, রাজনীতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাই অনেকেই রাজনীতি থেকে ঝড়ে পড়ছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, 'হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির শাসনামলে দুর্নীতি ও দুঃশাসন ছিল না, তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির শাসনামলে ফিরে যেতে চায়। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তাই জাতীয় পার্টি দেশের একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে।'
অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম. এম. নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. আজম খান, রফিক মেম্বার।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।