বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৯

আদেশে আগামী দুই মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে বলেছে আদালত। এটি করতে না পারলে বিবাদীদেরকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর লালদিয়ার চর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আগামী দুই মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে বলেছে আদালত। এটি করতে না পারলে বিবাদীদেরকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

আদালতে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়েছিল।

ওই রিটের প্রেক্ষিতে একটি জরিপ প্রতিবেদন দেয় জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় দুই হাজার ১০০ অবৈধ স্থাপনা ছিল। এরপর ২০১৬ সালে একটি রায়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই রায়ের পর আংশিক উচ্ছেদ শেষে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বলা হয়, বন্দর চেয়ারম্যান বদলি হয়ে নতুন চেয়ারম্যান গত এপ্রিলে যোগ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সময় চান।

এছাড়া ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে সংযোগ বিচ্ছিন্নে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেয়া হয়। সেটিও পালন করা হয়নি।

বন্দরের পক্ষে তাদের আইনজীবী মুরাদ রেজা বলেছেন, করোনার কারণে পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ‘আদালত আদেশে বলেছেন-বিবাদীরা আদেশ পালন করেননি, যা অনাকাঙ্খিত। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, ডিসি, র‍্যাব কমান্ডার, সিডিএ চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সকল বিবাদীদের রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া সেবা সংস্থাগুলোকেও উক্ত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।’

এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৯ সালের ৪ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনের অভিযান চালান হয়। অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০ একর জমি। আর তাতে উদ্ধার হয় পাঁচটি খালের মুখ। এরপর গত ২১ মাসে আর কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি প্রসাশন।

এ বিভাগের আরো খবর