দশ বছর আগে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাজধানীর আদাবর এলাকায় নবোদয় হাউজিংয়ে রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি উদ্ধার শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যার রায়ের তারিখ পেছাল।
মঙ্গলবার রায় দেয়ার তারিখ থাকলেও ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম তা পিছিয়ে আগামী ২০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া (টিপু) নিউজবাংলাকে নতুন রায়ের তারিখ জানিয়েছেন।
গত ২১ নভেম্বর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ ডিসেম্বর রায়ের তারিখ দিয়েছিল আদালত।
মোহম্মদপুরের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্লে-গ্রুপের ছাত্র ছিল সে। শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। প্রশ্ন থেকে গেছে পাঁচ বছর বয়সী সামিউলকে কে হত্যা করেছিল।
আসামির কাঠগড়ায় তারই মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু। পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এই দুই জনের ঘনিষ্ঠতার কোনো মুহূর্ত দেখে ফেলার কারণে প্রাণ গেছে সামিউলের।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউল তার মা এশার সঙ্গে শামসুজ্জামান আরিফের ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলেছিল বলেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় যাতে মানুষের চোখে পড়ে।
এ ঘটনায় তার বাবা কে এ আজম সেদিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এশা ও শামসুজ্জামান আরিফ উভয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও শামসুজ্জামান আরিফের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।