বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্য নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৫৮

একই সঙ্গে সংবিধান ও প্রচলিত আইন মেনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ভাস্কর্য, ম্যুরাল, স্ট্যাচু ও প্রতিকৃতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররমের খতিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে তাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

একই সঙ্গে সংবিধান ও প্রচলিত আইন মেনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এ আদেশের পাশাপাশি ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না- জানাতে রুলও জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন শাহ মঞ্জুরুল হক ও নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নিরাপত্তা চেয়ে গত রোববার জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহিড়ী। ওই রিটেরই শুনানি হয় মঙ্গলবার।

সোমবার আররেকটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ বঙ্গবন্ধুর সকল ভাস্কর্যের নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

গত শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পরই হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হুমকি দেন ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবেন।

ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরীও। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে দলই ভাস্কর্য বসাক তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে।’

এসবের মধ্যেই ঘটে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ইবনে মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার ছাত্র আবু বক্কর ও মো. নাহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। পাশাপাশি ভাঙচুরে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর