বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ভাস্কর্য, ম্যুরাল, স্ট্যাচু ও প্রতিকৃতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররমের খতিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে তাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত শুক্রবার রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ইবনে মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার ছাত্র আবু বক্কর ও মো. নাহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। পাশাপাশি ভাঙচুরে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক সদর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এনামুল হক এ আদেশ দেন।
সোমবার পুলিশ দুই ছাত্রের ১০দিন ও দুই শিক্ষকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ওই দিন দুপুরে তাদের কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক সদর আমলি আদালতে নেয়া হয়। আদালতের বিচারক রেজাউল করিম মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেন।
ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় প্রকাশ হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি ও কালো কোট পরা দুই ব্যক্তি ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে। এই ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযানে নামে ডিবি, ডিএসবি ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ। ভাঙচুরের ঘটনায় আটকদের রোববার গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।