রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের নকশা বহির্ভূত নয় শতাধিক দোকান উচ্ছেদে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা হতে ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২ এর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকের (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) দোকানগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা ছিল।
ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ তিন মাস আগে নোটিশ দিয়ে বিষয়টি দোকানমালিকদের জানিয়ে দিয়েছিল। মালামাল সরিয়ে নিতে সোমবার মাইকিংও করা হয়।
কিন্তু দোকান মালিক ও কর্মচারীদের বাধার মুখে মার্কেটের কাছেই যেতে পারেনি ডিএসসিসি এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা। দুপুর ১২টায়ও অভিযান শুরু করতে পারেননি তারা।
রাস্তা আটকে রেখে বিক্ষোভ করছে দোকান মালিক, কর্মচারীরা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
দোকান মালিকেরা জানান, সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময় ফুলবাড়িয়া মার্কেটের ৯১১টি দোকানের প্রত্যেকটির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেয়া হয় ডিএসসিসিকে।
এ বিষয়ে ৩৪ নম্বর কাউন্সিলর মো. মামুন নিউজবাংলাকে জানান, উচ্ছেদের ব্যাপারে কিছু জানা নেই তার।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের পক্ষে। তারা বৈধভাবে ব্যবসা করে খাক, এটাই আমি চাই।
‘এখানকার দোকানের মালিকেরা প্রতি দোকান বাবদ সাত থেকে ১২ লাখ করে টাকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের কাছে এই টাকার কোনো হিসাব নেই।’
বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসে সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হতে পারে জানান কাউন্সিলর মামুন।