বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে সিলেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)-এর ওয়াজ মাহিলের অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ।আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এই ওয়াজের আয়োজন করেছিল ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সিলেট বিভাগীয় শাখা।পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।যদিও রোববার সিলেটে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে আলিয়া মাদ্রাসার পাশে এই ওয়াজ মাহফিলের জন্য নির্মিত একটি ফটক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই মিছিল বের করা হয়।রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ভাস্কর্য ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ আছে।
তাদের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিবাদের মুখে শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।এর প্রতিবাদে সিলেটেও বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো। এ অবস্থায় সিলেটে চরমোনাই পীরের ওয়াজ মাহফিল নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যা তাহের বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে পুলিশ কমিশনার বিশেষ ক্ষমতাবলে এই মাহফিলের অনুমতি বাতিল করেছেন।’ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই নগরজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছিল ইসলামী আন্দোলন। নগরের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় তোরণ। এ ছাড়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্যান্ডেল তৈরির কাজও চলছিল।ইসলামী আন্দোলনের সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ওয়াজ মাহফিলে নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ, তাই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।’তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দলের অবস্থান তুলে ধরা হবে।