জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী। বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলাকে ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কিছু ইসলামি সংগঠন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পুরো বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে শেখ কবির বলেন, ‘ভাস্কর্য যে কোনো দেশের মহান ব্যক্তিদের নামেই হয়। বাংলাদেশের মহান ব্যক্তিদের নামে যদি ভাস্কর্য হয় তাহলে প্রথমেই জাতির পিতার ভাস্কর্যই নির্মাণ হওয়া উচিত।
‘পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই ভাস্কর্য আছে। এমনকি মুসলিম দেশগুলোতেও ভাস্কর্য রয়েছে।’
শেখ কবির মনে করেন, এখন যারা এইটা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে, যারা এর বিরোধিতা করছে, এরা কিন্তু নতুন সৃষ্টি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগেও ছিল, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে যে হত্যা করা হলো তার সঙ্গেও এই চক্রই যুক্ত ছিল। এখনও সেই চক্রই রয়ে গেছে। তাদের শিকড় আমরা এখনও উপড়ে ফেলতে পারি নাই।’
শেখ কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছেন। আমরা এটি নিয়ে গর্বিত, আমরা আনন্দিত। তাদের রায়ের বিচার অনেকটা হয়েছে ও বাকি রায়গুলোও কার্যকর হওয়ার পথে।
‘কিন্তু অশান্তি একটাই- আমরা এদের শিকড়গুলো এখনও উপড়ে ফেলতে পারি নাই। আমি মনে করি, বন্দুকের বিচার হয়েছে, কিন্তু বন্দুকের পিছনে যারা রয়েছে, ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিচার হয়নি এখনও। তারা যারাই হোক তাদের বিচার করা উচিত। মরণোত্তর যদি সম্মাননা দেয়া যায়, তাহলে মরণোত্তর বিচারও করা যাবে।’
এই ষড়যন্ত্রকারী কারা- তদন্ত করে অন্তত এটা বের করা উচিত মন্তব্য করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার এই অপশক্তি নাড়া দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তারা পরাজিত হয়েছিল। এখনও তারা আবার নাড়া দিচ্ছে।’
শেখ কবির হোসেন মনে করেন, এরা সেই পাকিস্তানি শক্তি। বলেন, ‘পাকিস্তানেও কিন্তু তাদের নেতা জিন্নাহর ভাস্কর্য রয়েছে। এখন আমাদের এই খানে যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে তারা কিন্তু আসলে বাংলাদেশবিরোধী। তারা বাংলাদেশকে চায় না।
‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেভাবে সফল হচ্ছেন, এই ক্ষেত্রেও তিনি সফল হবেন বলে আশা করছি।’