বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারা তো মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলত: হাছান মাহমুদ

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩২

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মাঠে নামা কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলো দাবি করছে, এটা ধর্মবিরোধী। যদিও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হাসান কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে বলেছেন ইসলাম ভাস্কর্য অনুমোদন করে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধীরা ধর্মীয় যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তা আমলে নিতে চান না তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, তারা তাদের স্বার্থের কারণে নানা সময় নানা অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পাকিস্তান রক্ষা করতে অনেক কথা বলেছে।

সোমবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভাস্কর্য ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মাঠে নামা কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলো দাবি করছে, এটা ধর্মবিরোধী। যদিও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল হাসান কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলাম ভাস্কর্য অনুমোদন করে।

আবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সব দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে। সৌদি আরব, তুরস্কও তার বাইরে নয়। তবে এর কোনো যুক্তিই মানতে চান না ভাস্কর্যবিরোধীরা।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হেনেছে, যারা ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে, এরা তাদেরই অনুসারী যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ফতোয়া দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা সব কাফের। একই সঙ্গে ফতোয়া দিয়েছিল নারীরা হচ্ছে গনিমতের মাল। তাদের ভোগ করা যাবে।’

মৌলবাদীদের দেয়া ফতোয়া অনুযায়ী তাদেরই ছবি রাখার কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন হাছান। বলেন, ‘যদিও সেটি তারা বর্জন করছেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা টেলিভিশন দেখা হারাম বলেছিল, যারা হজে যাওয়ার সময় ছবি তোলা হারাম বলেছিল, চাঁদে যাওয়া একটি কল্পকাহিনি, খোদার সঙ্গে শিরক করার কথা যারা বলেছিল, আজকে যারা ফতোয়া দিচ্ছে তারা তাদের অনুসারীরী।’

হাছান বলেন, ‘এই অপশক্তিকে পরাভূত করে বাংলাদেশে রচিত হয়েছে। সুতরাং হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে যে দেশ রচিত হয়েছে, এই স্বাধীন বাংলাদেশে এই মৌলবাদী অপশক্তির কোনো স্থান হবে না।’

মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, মন্ত্রী মাথা নেড়ে ‘না’ বোধক উত্তর দেন।

‘রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি’

বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বিএনপি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করে বলেও অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী। বলেছেন, এই সুযোগেই তারা ক্ষণে ক্ষণে ফণা তোলে।

সরাসরি বিএনপির নাম না বললেও হাছান বলেন, ‘তাদের একটি দল, একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। অথচ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেই দলের প্রতিষ্ঠাতার ভাস্কর্য আছে। কিন্তু তারাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। তারা যদি পৃষ্ঠপোষকতা না দিত তাহলে তাদের পক্ষে মাঝেমধ্যে এরকম ফণা তোলার অপচেষ্টা করা সম্ভবপর হতো না।’

‘রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে বলেই দেশকে মধ্য যুগে নিয়ে যেতে চায় মৌলবাদীরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে বসে আছে। সময়ে সময়ে তারা ফণা তোলার চেষ্টা করে। এদেরকে কোনোভাবে ফণা তুলতে দেয়া যাবে না।'

‘বিএনপি চায় না রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক’

রোহিঙ্গাদের একটি দলকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সমালোচনা করায় বিএনপির সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।

গত শুক্রবার এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার শিবির থেকে ভাসানচরে নেয়া হয়। দুই দিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, এই স্থানান্তর রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে বাধা তৈরি করবে।

হাছান বলেন, ‘বিএনপির বক্তব্য শুনে মনে হয়, রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক, তা তারা চায় না।’

ইউরোপে শরণার্থী শিবিরের চেয়ে ভাসানচরের শিবির আরও উন্নতমানের বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়েছে, তারা অত্যন্ত খুশি হয়ে বলেছে দেশে না ফেরা পর্যন্ত সেখানেই থাকতে চায়।’

মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা ইস্যু টিকে থাকুক এটাই চায় বিএনপি।

এ বিভাগের আরো খবর