গাজীপুরের দুই উপজেলায় গত দুই দিনে দুই গৃহবধূ খুন হয়েছেন। এক জনের সাবেক স্বামী ও অন্য জনের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে তালাক দেয়ার জেরে কাশিমপুর উপজেলায় মহসিনা আক্তার নামের সোমবার সকালে এক নারীকে তার সাবেক স্বামী কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় মর্জিনা নামের আরেক নারীকে রোববার বিকেলে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কামিমপুরে নিহত গৃহবধূর মহসিনা রংপুরের পীরগাছা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে।
তিনি স্বামীর সঙ্গে কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন জিএমএস কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মহসিনা পারিবারিক কলহের জেরে এক সপ্তাহ আগে তার স্বামী শরিফুল আলমকে তালাক দেন। কিন্তু সোমবার সকাল সাতটার দিকে শরিফুল তার বাসায় এসে ঝগড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে মহসিনাকে হত্যা করেন।
এর আগে ধস্তাধস্তির সময় শরিফুল আহত হন। পুলিশ তাকে আটক করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তার বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার বোটের হাট গ্রামে।
জিএমপি কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার হোয়াই অংপ্রু মারমা জানান, এ ঘটনায় মামলায় শরিফুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর এলাকার সজিব মিয়া তার স্ত্রী মর্জিনাকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রোববার বিকেলে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সজিব তার স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে মর্জিনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মর্জিনার মা শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। সজিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।