বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাকাত আত্মসাৎ: সাঈদীর মামলার শুনানি পেছাল

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০৬

আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বোর্ডের এক কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ মোট এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাৎ করেন।

জাকাত তহবিলের এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দুস্থদের না দিয়ে দলীয় তহবিলে দেয়ার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলায় শুনানি পিছিয়েছে।

সোমবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরার আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু শুনানির জন্য প্রস্তুত নয় জানিয়ে সময় আবেদন করেন সাঈদীর আইনজীবীরা। বিচারক আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

শুনানি পিছিয়েছে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায়ও।

বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি সাক্ষী উপস্থিত না থাকায়।

পরে সময় আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিক উদ্দীন বাচ্চু। আদালত ৬ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

জাকাতের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ছয় জন আসামি। অন্য পাঁচ জন হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক আব্দুল হক।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাঈদী কারাগারে আছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক। অন্য তিন জন আসামি জামিনে রয়েছেন।

এই মামলায় আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়ার জোট সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান। তিনি মারা গেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে আপিল বিভাগ দিয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাকাত বোর্ডের এক কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ মোট এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাৎ করেন।

এই অর্থের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুকূলে ৫০ লাখ, কাঠালিয়া মুসলিম এ কে. ইনস্টিটিউটের অনুকুলে ছয় লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি এডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি সাঈদীর ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে পাঁচ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরীয়তপুরের অনুকূলে আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় বলে অভিযোগ আছে মামলায়।

মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আয়কর ফাঁকির মামলা

সাঈদীর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা আয় গোপন করে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর দেননি।

এই অভিযোগে ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট এনবিআর মামলা করে মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিরুদ্ধে। পরের বছর ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। যদিও ২০১৩ সালে এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ বিভাগের আরো খবর