বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনার্স-মাস্টার্সের ভুয়া সনদ বানিয়ে চাকরি

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৫৩

সিদ্দিক এসএসসি পাস। কিন্তু অনার্স ও মাস্টার্সের মিথ্যা সনদ তৈরি করে চাকরি করেন ব্যাংকের জুনিয়র কর্মকর্তা পদে। আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

মিথ্যা অনার্স ও মাস্টার্সের সনদ দাখিল করে চাকরি নেয়ার কারণে একজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।

এনসিসি ব্যাংকের জুনিয়র কর্মকর্তা পদে চাকুরি নেয়া সিদ্দিকুর রহমান সর্বোচ্চ এসএসসি পাস।

দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় (জাল দলিল করা) সিদ্দিকুরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই আইনের ৪৭১ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

দুদকের কৌসলী মীর আহমেদ আলী সালাম নিউজবংলাকে জানান, দুটি অভিযোগের দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে আদালত বলেছে। তাই তাকে ৫ বছর সাজাই খাটতে হবে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি সিদ্দিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিদ্দিক ফরিদপুরের সরকারি ইয়াসিন কলেজ থেকে এইচএসসির ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সের মিথ্যা সনদ তৈরি করেন। পরে সেই সনদ দাখিল করে এনসিসি ব্যাংকের ফরিদপুর শাখায় জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি চাকরি নেন।

একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালে তার সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

দুদকের উপপরিচালক ফজললু হক বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলায় সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৯ নভেম্বর বিচার কাজ শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর