বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদের মৃত্যু

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:১৯

দেশ স্বাধীন করতে ও বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান বাহিনী গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার।

নভেম্বরের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে দেখা দেয় অন্যান্য শরীরিক জটিলতাও। আর সেরে ওঠা হলো না; না ফেরার দেশে চলে গেলেন একাত্তরের বীর সৈনিক ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীর উত্তম।

সোমরার বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যু হয় তার।

আকরাম আহমেদের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর; রেখে গেছেন স্ত্রী ও এক মেয়েকে। বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়েছে তার মরদেহ।

আকরামের স্ত্রী লায়লা আহমেদ জানান, মঙ্গলবার বাদ যোহর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এয়ার ফোর্স ঘাঁটি এসি থ্রি এর পাঁচ নম্বর গেইটে তার স্বামীকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। এরপর জানাজা শেষে বাদ আছর বনানী কবরস্থানে বাবা-মা ও মেয়ের কবরে সমাহিত করা হবে।

গত ১১ নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচ এ ভর্তি হন ক্যাপ্টেন আকরাম। এরপর ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার অবস্থার অবনতি হয়। গত ৩০ নভেম্বর তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পরলে তাকে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়। আর অবস্থার উন্নতি হয়নি।

সোমবার সকালে হার্ট অ্যাটাকের কয়েক ঘণ্টা পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দেশ স্বাধীন করতে ও বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান বাহিনী গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল আকরাম আহমেদের

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাব পান আকরাম। দেশ স্বাধীন করতে ও বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান বাহিনী গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা এয়ারফোর্স অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী; শুরুতে নাম দেওয়া হয় ‘কিলোফ্লাইট’। সীমিত বহর নিয়েও আকাশপথে গেরিলা অপারেশনের মাধ্যমে পাক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে তোলে তারা।

তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো দুটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি বিমান ছিল যোধপুরের মহারাজার দেয়া আমেরিকায় নির্মিত ডিসি-৩ ডাকোটা, অন্যটি কানাডায় তৈরি ডিএইচথ্রি অটার বিমান। হেলিকপ্টারটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি এলুয়েট থ্রি মডেলের।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা এয়ারফোর্স অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যাত্রা।

এর মধ্যে অটার বিমানটি চালানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ফ্লাইট লেফটেল্যান্ট শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ ও ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন আহমেদ অটার।

তাদের লক্ষ্য ছিল এই আকাশযানগুলো নিয়ে রাতের বেলায় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর ওপর আচমকা হামলা চালিয়ে পালিয়ে আসা। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা।

এ বিভাগের আরো খবর