বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু চালু হতে আর এক বছর

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:০২

১০ মাস থেকে এক বছর লাগবে। লাস্ট স্প্যান ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বসবে বলে আমরা আশাবাদী। সেতুতে ঢালাইয়ের কাজ, সড়কের জন্য প্রস্তুত করা, রেলের জন্য প্রস্তুত করার কাজ বাকি আছে। এটা ডাবল ডেকার সেতু। ইটস অ্যা ইউনিক ব্রিজ ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। এখানে রেলও চলবে, সড়কের যানবাহনও চলবে। কাজে ওটাকে সেভাবেই তো তৈরি করতে হবে। ইট উইল টেক টাইম: ওবায়দুল কাদের

সব স্প্যান বসে গেলেও পদ্মাসেতুতে যান ও ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বহুল আলোচিত এই সেতুর ছয় কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসতে পারে বলে জানিয়েছেন সেতুর কর্মকর্তারা। এটি বসে গেলে দুই পার পুরোপুরি সংযুক্ত হয়ে যাবে।

তবে স্প্যান বসানোই শেষ কথা না। সেতুর ওপর অংশে সড়কের কাজ আর নিচের অংশে রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ করতে হবে।

পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোতে থাকছে কংক্রিট ও স্টিল। সেতুর ওপরের অংশে তৈরি হচ্ছে সড়ক পথ। সেতুর সড়ক তৈরির কাজে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯২৭টি রোড স্ল্যাব। গত শুক্রবার শেষ স্প্যানের আগেরটি বসানোর দিন অবধি বসানো হয় এক হাজার দুইশটির বেশি স্ল্যাব।

থেমে নেই নিচ তলায় রেলপথ নির্মাণ কাজ। সেতুর নিচ তলায় এসে দেখা যায়, লোহার রডের কাঠামো তৈরি করে দেয়া হয়েছে কংক্রিটের ঢালাই। সেগুলো ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান এবং আর একটি স্প্যান বাকি থাকার বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। সবাই অপেক্ষায় শেষ স্প্যানটি বসানোর। আর কবে যান চলাচলের জন্য সেতুটি পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে, সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে জিজ্ঞাসা।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের, যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের জটিলতম সেতুটি।

সেতুর বাকি কাজ শেষ হতে কতো সময় লাগতে পারে, এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১০ মাস থেকে এক বছর লাগবে। লাস্ট স্প্যান ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বসবে বলে আমরা আশাবাদী। সেতুতে ঢালাইয়ের কাজ, সড়কের জন্য প্রস্তুত করা, রেলের জন্য প্রস্তুত করার কাজ বাকি আছে।

‘এটা ডাবল ডেকার সেতু। ইটস অ্যা ইউনিক ব্রিজ ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। এখানে রেলও চলবে, সড়কের যানবাহনও চলবে। কাজে ওটাকে সেভাবেই তো তৈরি করতে হবে। ইট উইল টেক টাইম।’

২০২১ সালের বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দিবসে আমরা উদ্বোধন করা না। প্রাইম মিনিস্টার এটার বিরুদ্ধে। কোনো বিশেষ দিবসে এটা উদ্বোধন করা-এ জাতীয় প্রস্তাব তিনি কখনও গ্রহণ করেন না। বিশেষ দিবস তো বিশেষ দিবসই। এটা অন্য যেকোনো দিন হতে পারে। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে তো হওয়ার দরকার নেই।’

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বরে সেতুর মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়।

সবশেষ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে করোনার হানায় আবার ধীরগতি তৈরি হয় কাজে। যদিও তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর