সারা দেশে স্থাপিত ও নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালত আদেশে বলেছে, বর্তমান সময়ের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দেশের যেসব স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপিত আছে এবং যা নির্মাণাধীন আছে তার নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে।
একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে অগ্রগতি জানতে চেয়েছে আদালত।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জারি করা এ সংক্রান্ত রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় সোমবার বিষয়টি কোর্টে আসে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এ সময় আদালত বিগত আদেশের অগ্রগতি জানতে চান। তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, সারাদেশের অধিকাংশ জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। তখন আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় রিটকারি আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের কাছে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করতে আদেশ প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত সে বিষয়ে আদেশ দেননি।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একই সঙ্গে মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।