বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবুনগরী মামুনুল ফয়জুলের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৫৫

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের জেরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী এ ইউ জেড প্রিন্স।

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের জেরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী এ ইউ জেড প্রিন্স।

আইনজীবী প্রিন্স নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকদের বক্তব্য ও কার্যকলাপ রাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন এক আইনজীবী।

রোববার আবেদন করা জিশান মাহমুদ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-আইন সম্পাদক।

এই সংগঠনটিই ভাস্কর্যবিরোধীদের শাস্তি চেয়ে দেশজুড়ে প্রথম কর্মসূচি পালন করেছিল।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আমলে নিতে হলে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অপর নাম। তার ভাস্কর্যে আঘাত হানা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল। মামুনুল হক ও বাবুনগরীদের প্রত্যক্ষ মদদে এই কাজ করেছ দুবৃর্ত্তরা।

এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রের প্রতি বিরাগ ও ঘৃণা সৃষ্টির অশুভ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, বাবুনগরীরা দণ্ডবিধির ১২৩, ১২৪ ক এবং ৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দিয়েছিলেন ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবেন।

শুধু মামুনুল নন, ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরীও।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আয়োজিত এক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, যে দলই ভাস্কর্য বসাক তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে।

এসবের মধ্যেই গত শুক্রবার রাতে ঘটে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা। তাতে ভাস্কর্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে দেশ জুড়ে। এর অংশ হিসেবেই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

এ বিভাগের আরো খবর