বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ ৬৪ জেলায়

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৩৯

বিজয়ের মাসে যারা ভাস্কর্য ভাঙার স্পর্ধা দেখিয়েছে তাদের মূল উৎপাটন করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে উত্তাল সারা দেশ। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচি থেকে ভাঙচুরে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। বিজয়ের মাসে যারা ভাস্কর্য ভাঙার স্পর্ধা দেখিয়েছে, তাদের মূল উৎপাটন করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোববার বিকেল চারটার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সমাবেশ হয়। এতে অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য রআম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে কথিত নিরপেক্ষতার নামে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে। পাকিস্তানের দালাল এসব ধর্মান্ধগোষ্ঠীকে আর ছাড় দেয়া হবে না।’সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শুভনসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।সমাবেশ শেষে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে টেংকের পাড়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

বাগেরহাটে বিকেলে শহরের রেলরোডের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।

সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘যারা রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধী। তারা মৌলবাদী। এই মৌলবাদী অপশক্তিকে রুখতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। মৌলবাদী অপশক্তিকে রুখতে অতীতে আওয়ামী লীগ যেমন মাঠে ছিল, আগামীতেও থাকবে। মৌলবাদীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, দফতর সম্পাদক অম্বরিষ রায়, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইবনে মিজান হিরু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এম এ মতিন, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি অতারুকদার আব্দুল বাকী, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী তালুকদার রিনা সুলতানা, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে।চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর ছাত্রলীগ।

রোববার বিকেল তিনটার দিকে নগরের দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে যারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, তারা চিহ্নিত অপশক্তি এবং একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী। তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সীমা লঙ্ঘন করেছে। এদের উৎপাটন করতেই হবে।

‘হেফাজত এখন সরাসরি জামায়াত শিবির দ্বারা পরিচালিত একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি এখন ধর্মীয় মৌলবাদ।’ 

সংগঠনের সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ইমুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি তালেব আলি, নোমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম মানিক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবু তারেক রনি, শাহরিয়ার হাসান, এমএ হালিম সিকদার মিতু, ফয়সাল সাব্বির, আবদুল  আহাদ, এম হাসান আলি, আলবিন নূর নাহিয়ান, শফিকুল আলম পারভেজ, বোরহান উদ্দিন ফরহাদ, শেখ শরফুদ্দিন সৌরভ, শুভ ঘোষ, মমসাদ চৌধুরী রাব্বি, আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, সালাহ উদ্দিন বাবু, আরাফাত রুবেল, মোশরাফুল হক চৌধুরী পাভেল, শেখর দাশ, ইমরান শাওন, ফয়সাল অভি, ইকবাল হোসেন নয়নসহ অনেকে।

ফরিদপুরে দুপুরে শহরের ইমামউদ্দিন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মুজিব সড়ক হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে ইমামউদ্দিন চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামিম হক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজুসহ আরও অনেকে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে ঘাপটি মেরে আছে। এরা সুযোগ পেলেই হিংস্র ছোবল মারে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বিজয়ের মাসে ওরা ওদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। ওই দুষ্টুচক্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের স্পর্ধা দেখিয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

ঝিনাইদহে সকালে সরকারি কেসি কলেজ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

পরে পোস্ট অফিস মোড়ে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুর পারভেজ তুষার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল, কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রিপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খায়রুল ইসলাম টিটন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন।

খাগড়াছড়িতে বিকেলে সদর কলেজ রোডের আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শাপলা চত্বর ঘুরে একই স্থানে শেষ হয়।

পরে সমাবেশে জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ধর্মান্ধদের ঘৃণ্য কাজের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জানু শিকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৌরভ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন ত্রিপুরা।

লক্ষ্মীপুরে বিকেলে উওর তেমুহনী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সভা হয়।

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহাজান কামাল বলেন, রাতের আঁধারে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে, তারা দেশের শত্রু। এদের দ্রুত প্রতিহত করা প্রয়োজন। দেশের অগ্রগতি দেখে একটি মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই তা মেনে নেয়া হবে না।

সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন নয়ন, মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাছুম, রছেল মাহামুদ মান্না, বাবর মাহামুদ, জসিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ভুলু, শেখ জামান রিপন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেল্লাল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরিফসহ বক্তব্য রাখেন আরও অনেকে।

মানিকগঞ্জে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুবলীগের ব্যানারে শহরের শহীদ রফিক সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কোর্ট চত্বরসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, ‘বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কযের ওপর হামলা করেছে। তারা আবারও প্রমাণ করল, তারা বাংলাদেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী। যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করবে, তাদের বাংলাদেশে থাকতে দেয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কযের ওপর হামলারকারীদের দ্রুত বিচার দাবিও জানান তিনি। 

জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল ইসলাম বাবলু, সুলতানুল আজম আপেল ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান জনিসহ বক্তব্য রাখেন আরও অনেকে।

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ ছাড়া মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রংপুর, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও পাবনাসহ সারা দেশের সব জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা।

এ বিভাগের আরো খবর