বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনাজপুরের সেই শিশু ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৩১

চার বছর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখনো অসুস্থ। তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাদের আদেশও দেয়া হয়েছে।

দিনাজপুরের আলোচিত পাঁচ বছরের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।

দীর্ঘ দিনও মামলাটির বিচার শেষ হচ্ছে না- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন এদিন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবির। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদেশ বাস্তবায়ন করে দিনাজপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তিতে প্রসিকিউশনের গাফলতি মিললে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে হাইকোর্ট।

ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখনো অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাদের আদেশও দেয়া হয়েছে।

আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, শিশু ধর্ষণের মামলাটি নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি আমলে নিয়ে আদালত চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় কয়েকটি ছেলে-মেয়ের সঙ্গে খেলা করছিল মেয়ে শিশুটি। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। তাকে সহযোগিতা করে আফজাল হোসেন কবিরাজ। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতসহ সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। পরে বাড়ির পাশের একটি হলদে ক্ষেতে পুতে রাখে।

এদিকে বাড়ির লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে রাতেই শিশুটির বাবা সুবল চন্দ্র দাস পার্বতীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সকালে শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতাল ভর্তি করা হয়; পরে নেয়া হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২০ অক্টোবর রাতে সুবল চন্দ্র দাস পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার দেড় বছর পর ২০১৮ সালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এখনও তা শেষ হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর