বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রেনেড হামলা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাজা বহাল

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৩৫

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান খানকে দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তার জামিন আবেদন খারিজ করে সাজা বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেয়। এর আগে হাইকোর্টও তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেছিল।

দুই আসামি হলেন-সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান খান।

আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিলুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমান মামলার রায় পর্যন্ত পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তারা আদালতে আত্মসমপর্ণ করেন।

আসামিরা আত্মসমর্পণ করে সাজা বাতিল করে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদন শুনানি করে চলতি বছরের ৯ মার্চ বাতিল করে দেয় আদালত। নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্টও তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। আপিলে বিভাগেও তাদের আবেদনটি খারিজ হলো।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান খানকে দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তখন জানা যায়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হামলার ছক করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে এসেছিল হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই ঘটনায় বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় অপর ১১ আসামিকে।

রায়ের সময় ৩১ জন আসামি কারাগারে ছিলেন। পলাতক ছিলেন বাকি ১৮ জন। তারা হলেন- তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, এটিএম আমিন, সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, খান সাঈদ হাসান, ওবায়দুর রহমান, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, আবদুল মালেক ওরফে, শওকত ওসমান, মাওলানা তাজউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মাওলানা আবু বকর, খলিলুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম।

তবে এর মধ্যে এ দুইজন আত্মসমর্পণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর