লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাংচুরের মামলায় শনিবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোতাহার হোসেন (২১), আমির হোসেন (৩০), বিপ্লব হোসেন ওরফে লিমন (১৯) এবং আতিয়ার রহমান ওরফে পাইয়া।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, গ্রেফতার আসামিদের শনিবার বিকেলে লালমনিরহাট জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালত-৩ বিচারক বেগম ফেরদৌসী বেগমের আদালতে তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত আগামীকাল রোববার রিমান্ড শুনানি তারিখ দিয়ে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ৱ
এ নিয়ে তিন মামলায় ১১৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত শত শত আসামির মধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় ডিবি।
ডিবির ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আগামীকাল রিমান্ড শুনানি হবে। আদালত রিমান্ডে দিলে শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা আরও সহজ হবে।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫০ বছর বয়সী শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সময় শহীদুন্নবী জুয়েলের সঙ্গী ৫১ বছর বয়সী সুলতান জোবায়ের আব্বাসও আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাংচুর করায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।