কুষ্টিয়ায় যে স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে, সেখানে তিনটি ভাস্কর্য বসানো হবে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
তিনি জানান, ভেঙে দেয়া ভাস্কর্যটি তারা মেরামত করার চেষ্টা করবেন। সেটা সম্ভব না হলে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
গত রাত দুই টার দিকে দুই যুবক ভাস্কর্যটি ভেঙে দেয় বলে সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ রাস্তার মোড়ে একই আকারের বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য থাকবে। একটি হবে ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি। অন্য দুটি ছয় দফা আন্দোলনের এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিকৃতি। এই তিনটি ভাস্কর্যের সম্মুখভাগ থাকবে তিন দিকে। আর এর নিচের দিকে জাতীয় চার নেতার চারটি ভাস্কর্য থাকবে।’
ভাস্কর্যগুলোর পোর্টেট বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টিবোর্ড থেকে অনুমোদিত বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, প্রথমে বসানো হচ্ছিল মজমপুরের দিকে মুখ করা ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতিটি।
গত নভেম্বরে কুষ্টিয়া পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। দরপত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকায় কাজ পান ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম। শামীম এখন কুষ্টিয়াতেই আছেন। তিনি দেখছেন, এটি মেরামত করা সম্ভব কি-না।
ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় জেলাজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্য সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বাহিনীটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থাপনাটি ভাঙচুরের ঘটনায় তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি বাহিনীটির পক্ষ থেকে।