২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৯৫তম ব্যাচের ২ হাজার ৫২৪ জন সৈনিক শপথ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সৈনিক জীবন শুরু হলো তাদের।
শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে ৯৫তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হয়। অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন ফজলে রাব্বি সৈনিকদের শপথ পড়ান।
সাতকানিয়ায় বিজিটিসিএন্ডসিতে ৯৫ রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে ৫৯০ জন পুরুষ ও ২০১ জন নারী রিক্রুট রয়েছেন।
বিজিটিসিএন্ডসি ছাড়াও ৬টি প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে ৯৫তম রিক্রুট ব্যাচের ১ হাজার ৭৩৩ জন রিক্রুটসহ ২ হাজার ৫২৪ জন রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ৯৫তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিককদের শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
স্বাগত বক্তব্যে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশন শুরু হওয়ার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিলখানায় ফোন দিয়েছিলেন। ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর প্রতি কতটা বিশ্বস্ততা ও ভালােবাসা থাকলে এমন হয়, সেটা আমি অনুভব করতে পারি।
‘দেশব্যাপী স্বাধীনতার ঘােষণার ছড়িয়ে দিতে এই বাহিনীর ওপরই আস্থা রেখেছিলেন জাতির পিতা। ইতিহাস সাক্ষী আছে, আমরা সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়, যার মধ্যে ৮১৭ জন শাহাদাত বরণ করেন। ভবিষ্যতেও যেকোনাে রাষ্ট্রীয় সংকটে এমন বিরল আত্মদানের জন্য আমিসহ বিজিবির প্রতিটি সদস্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। এ ব্যাপারে আমরা গোটা বাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ।’
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার হিসেবে প্যারেড পরিচালনা করেন ৯৫তম রিক্রুট ব্যাচের অফিসার ইনচার্জ মেজর কাজী মনজুরুল ইসলাম। প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুম।