ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে মেরামতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পেছন থেকে ট্রাকের ধাক্কায় অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন, এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও দুই জন নারী। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, ট্রাকের হেলপার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শমসের হাট গ্রামের মো. চুন্নু (৩২), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ধলনাকান্দি গ্রামের মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৪) ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬১)। বাকি দুজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদের মধ্যে চার জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকি দুই জনের মৃত্যু হয়েছে টাইঙ্গালের কুমুদিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরবাগ গ্রামের রেশমী বেগম (২০), একই উপজেলার কদরপাড়া গ্রামের চন্দ্রনা, আশবাড়ী গ্রামের মো. পারভেজ (১২), হরিরাম শাহাপুর গ্রামের মো. রাশেদুল ইসলাম (২৭) ও রাজশাহীর বোয়ালী উপজেলার মতিয়া বিল গ্রামের মো. রিদয় মিয়া (২২)। এদের মধ্যে রেশমী বেগম ও চন্দ্রনার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মির্জাপুরের কুর্নী নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান গোরাই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
তিনি জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মেরামতের জন্য বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করানো হয়। সবজিবাহী একটি ট্রাক পেছন থেকে দ্রুত গতিতে আঘাত হানে বাসটিকে।
চাকা মেরামতের সময় যাত্রীরা বাস থেকে নেমে তা দেখছিল। আর এই দুর্ঘটনায় হতাহতের মধ্যে বেশিরভাগই তারাই।
দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায় মালবাহী ট্রাকটি। ছবি: নিউজবাংলা
সজোরে ধাক্কার কারণে ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। সে তুলনায় বাসের কাঠামোর ক্ষতি কম হয়েছে। পেছনের অংশে এক পাশ ভেঙে গেছে কিছুটা।
পরে হাইওয়ে পুলিশ র্যাকার নিয়ে এসে ট্রাকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, নিহতদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, বাস এবং ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক এবং বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।