পৃথক তিনটি মামলায় ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে আরও নয় দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার (রিমান্ড) আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিন করে ৬ দিন এবং মাদক মামলায় মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার রিমান্ড এক সঙ্গে চলবে। সেক্ষেত্রে গোল্ডেন মনিরকে ওই দুই মামলায় ৩ দিনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে।
১৮ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন এবং মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তদন্ত কাজে নিয়োজিত ডিবি পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু আসামির ২৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের নিয়ম মেনে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এর আগে মহানগর আদালত গত ২২ নভেম্বর গোল্ডেন মনিরকে ১৮ দিনের জন্য জিজ্ঞাসবাদ করার আদেশ দেন। তবে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ একসঙ্গে চলায় তাকে সাত দিন ও অপর মামলায় চার দিন এই মোট ১১ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ২০ নভেম্বর মধ্য রাতে মনিরের বাড্ডার বাড়ি ঘিরে রাখেন র্যাব সদস্যরা। ২১ নভেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গয়না, বিদেশি পিস্তল, মদ, দেশ-বিদেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এসময় র্যাব সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক এই গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে বহু প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা মনির স্বীকার করেছেন বলেও র্যাব সদস্যরা জানান। জব্দ করা হয় দুইটি বিলাসবহুল গাড়ি। যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা। পরে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় র্যাব পৃথক তিনটি মামলা করে।