বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি স্ত্রীকে বাড়ি উইল: মত দেবেন অ্যামিকাস কিউরিরা

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:০৪

চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, কামাল-উল-আলম ও মো. নুরুল আমিন।

সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাই মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বিদেশি নাগরিক স্ত্রী আঞ্জু কাপুরকে বাড়ি উইল করার বিষয়ে আইনি মতামত দিতে চার অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, কামাল-উল-আলম ও মো. নুরুল আমিন। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১২ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে।

আদালতে জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাদের সৎ মা দাবিদার আঞ্জু কাপুরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-১৮৭২ অনুসারে কোনো মুসলিম কোনো হিন্দু নারীকে বিয়ে করতে পারে কি না সে বিষয়ে মতামত দিতে ৪ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা স্ত্রী হিসেবে আঞ্জুকে জগলুল ওয়াহিদের সম্পূর্ণ বাড়ি উইল করার আইনগত ভিত্তি বিষয়ে মতামতও দেবেন।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই বোনকে নিরাপত্তা দিতে গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংকে মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের অ্যাকাউন্ট থাকলে এবং দুইপক্ষ কোনো স্টেটমেন্ট চাইলে সংশ্লিষ্ট ম্যানেজার তা দেবেন। পরে দুই পক্ষ তা আদালতে দাখিল করবেন। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের ফাইল আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুই বোনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে হাইকোর্ট গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দিয়েছিল।

আদেশে দুই বোনকে অনতিবিলম্বে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কের বাসায় প্রবেশ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে ওই বাড়িতে তাদের প্রবেশ ও অবস্থান নিশ্চিত করার পর গুলশান থানার ওসিকে রাতেই সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে টেলিফোনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এ ছাড়া বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ ৩ নভেম্বর দুই বোন এবং ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়।

আদালতের আদেশের পর রাতেই দুই বোন মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফাকে বাসায় উঠিয়ে দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গুলশান থানা পুলিশ। বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

পরে আদেশ অনুসারে ৩ নভেম্বর দুই বোন ও তাদের সৎ মা দাবিদার আঞ্জু কাপুর গুলশান থানার ওসিকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হন। ওই দিন আদালত ওই বাড়ির দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে পক্ষগুলোকে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানির জন্য আসে।

এ বিভাগের আরো খবর