বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমসি কলেজে ধর্ষণ: অস্ত্র মামলায়ও অভিযুক্ত দুই আসামি

  • দেবাশীষ দেবু, সিলেট   
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:২৩

পুলিশ বলছে, মামলার তদন্তে অবৈধ অস্ত্রগুলোর সঙ্গে সাইফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান রনির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

সিলেটে মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আট আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। একই দিনে অস্ত্র উদ্ধারের আরেকটি মামলায়ও চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার সকালে এই চার্জশিট দেন। এটি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক আবুল কাশেম।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণের খবর পেয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যায় পুলিশ। এ সময় ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষে অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে পরের দিন অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ।বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুহেল রেজা জানান, ঘটনার রাতেই এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাহপরান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।তিনি আরও জানান, মামলার তদন্তে ওই অবৈধ অস্ত্রগুলোর সঙ্গে সাইফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান রনির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।এদিকে ধর্ষণ মামলার চার্জশিটে আট জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন-সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মাসুম, মিসবাউল ইসলাম রাজন ও আইনুদ্দিন আইনুল। এদের মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয় জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তদন্তে এ দুজনেরও সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ।অভিযোগপত্রে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হিসেবে নাম এসেছে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজনের।ধর্ষণে সহায়তা করেন রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।আট আসামির সবাই কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে ছয় আসামির ডিএনএর সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে। আসামিরা ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।

এ বিভাগের আরো খবর