ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও সহযোগিতা করার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতাকে দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান সোহাগ এবং সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোসহ প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
প্রথমে মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে তাদের গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করে।
এরপর মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ডের আবেদন করে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদাকে এবং ৯ নভেম্বর সোহাগকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাটি করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতোয়ালি থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।