বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আবেদন দিয়ে আদালত বর্জন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুজাফর মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
আদালত আইন বহির্ভূতভাবে মামলার ৩৩ নম্বর সাক্ষী ডিবির আইটি ফরেনসিক বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. রকিবুল হাসানকে রিকল করলে আইনজীবীরা আবেদন করে জানান, এই আদালতের প্রতি তাদের আস্থা নেই। হাইকোর্টে যেতে চান তারা।
আইনজীবীরা বলেন, ‘আমাদেরকে দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হোক। আমাদের আসামিরা এই আদালতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।’
এরপর আবেদনে সই করা আইনজীবীরা রেজাউল করিম সরকারের নেতৃত্বে বেরিয়ে যান।
তখন রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি আবু আব্দুল্লাহ ভুঁঞা জানান, আগামী রোববার এই আবেদনের শুনানি করা হবে।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ৬ জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক।
১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।