বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আতাইকুলা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়নি আজও

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০৭

১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল আতাইকুলা গ্রামের বধ্যভূমিতে ৫২ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

নওগাঁর রাণীনগরের আতাইকুলা গ্রামের বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাঁচ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।

১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল আতাইকুলা গ্রামের বধ্যভূমিতে ৫২ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রাণে বেঁচে যান প্রদ্যুৎ চন্দ্র পাল, সাধন চন্দ্র পাল ও নিখিল চন্দ্র পাল।

নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞের কথা স্মরণ করে আজও তাদের গা শিউরে ওঠে। চোখ ভিজে আসে জলে।

তাদের বর্ণনায়, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল ছিল রোববার। সকাল ১০টার দিকে ছোট যমুনা নদী পার হয়ে আসে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল। মুক্তিযোদ্ধারা এই গ্রামে অবস্থান করছেন, এমন সন্দেহে প্রথমে তারা গ্রামটি ঘিরে ফেলে। এরপর বাড়ি বাড়ি হানা দেয়।

নারী ও পুরুষদের ধরে ধরে জড়ো করে গ্রামের বলরাম চন্দ্রের বাড়ির উঠানে। পরে পুরুষদের সারিবদ্ধ করে দাঁড় করানো হয়। একপর্যায়ে ব্রাশফায়ার করা হয়।

আর ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রেখে নারীদের সম্ভ্রমহানি করা হয়। এরপর গ্রামের অন্য বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায় সেনারা।

প্রদ্যুৎ চন্দ্র পাল নিউজবাংলাকে জানান, সেদিন তার বাবা, কাকা ও জ্যাঠা এবং গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তাকেও সারিবদ্ধ করে ব্রাশফায়ার চালানো হয়। এতে ৫২ জন শহিদ হন। তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন মরদেহগুলোর মধ্যে। পাকিস্তানি সেনারা চলে যাওয়ার পর তিনি কোনো রকমে বাড়ি ফিরে যান।

শহিদ গোবিন্দ চরণ পালের ছেলে গৌতম পাল বলেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ, শহিদদের নাম সরকারি গেজেটভুক্ত করা, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও শহিদদের অসহায় পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কোনো পদক্ষেপই নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আট শতাংশ জমি বধ্যভূমিতে দান করেছি।’

শহিদদের স্বজনরা উদ্যোগ নিয়ে স্থানটি ঘিরে ইটের প্রাচীর দেন। আর সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন মনোয়ারা হক ১৯৯৬ সালে কিছু অনুদান দিয়ে ফলকে শহিদদের নাম লিপিবদ্ধ করান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগকে জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর