বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পার্বত্যচুক্তি ২৩ বছরেও অকার্যকর কেন

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:১১

সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘প্রায় নয় বছর ধরে আমাদের সরকার বলছে চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।… কিন্তু আমরা হিসাব করতে পারিনি। ভেঙে ভেঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিসাব করা যায় না। এটি গত নয়/দশ বছর ধরে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র বা সরকারের এক ধরনের চালাকি। আমরা আশা করব, আমাদের রাষ্ট্র সৎ আচরণ করবে। মানবিক হবে।’

পার্বত্যচুক্তি ২৩ বছরেও অকার্যকর কেন- এই প্রশ্ন রেখেছেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সরকার এখনও আশাবাদের কথা বলছে, আমরা আশাবাদের কথা শুনে ভাবতে পারি, ভাবতে চাই যে সরকার এখনও চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলছে।’

বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৩ বছর পূর্তিতে এক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডব্লিউভিএ অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা হয়।

পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘যদিও তার (সরকার) সকল কার্যক্রম চুক্তি অবাস্তবায়িত রাখার পক্ষে। চুক্তি অকার্যকর করার পক্ষে। তারপরেও অন্তত যখন বলে ৭২ টি ধারার মধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে, যখন বলে এই সরকারের আমলে চুক্তির অবশিষ্ট অংশ বাস্তবায়িত হবে; তখন এর মধ্য দিয়ে সরকার অস্বীকার করতে পারছে না যে একটা চুক্তি হয়েছিল।’

সভায় আরেক অতিথি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ঐক্য না হলে এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম পার্বত্য চুক্তি হয়ে গেল, তার এক বছরের মাথায় এই ঐক্য ভেঙে দেয়া হলো। আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি এই শান্তি চুক্তিকে টরপেডো করার জন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা হয়েছে।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩ বছর পূর্ণ হলো। কোনো বর্ষপূর্তিতেই পাহাড়ের মানুষ বা আদিবাসী মানুষ তার আনন্দ চুক্তির বর্ষপূর্তি পালন করতে পারেননি। কারণ ২৩ বছরেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি।

সঞ্জীব দ্রং আরও বলেন, ‘প্রায় নয় বছর ধরে আমাদের সরকার বলছে চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।… কিন্তু আমরা হিসাব করতে পারিনি। ভেঙে ভেঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিসাব করা যায় না। এটি গত নয়/দশ বছর ধরে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র বা সরকারের এক ধরনের চালাকি। আমরা আশা করব, আমাদের রাষ্ট্র সৎ আচরণ করবে। মানবিক হবে।’

অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, প্রথম আলো’র উপসম্পাদক ও কবি সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মুর্তোজা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর