বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেতু উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ল গাইডওয়াল

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৭

২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১০ মিটার দীর্ঘ কালনী ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয়। এছাড়া, পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের দুই পাশে গাইডওয়াল দিয়ে ৩৭৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স নূরুল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়েছে কালনী নদীর উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের গাইডওয়াল।

এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। আর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বলছে সমস্যা দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

দিরাই উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগের জন্য ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১০ মিটার দীর্ঘ কালনী ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয়। এছাড়া, পাঁচ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের দুই পাশে গাইডওয়াল দিয়ে ৩৭৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স নূরুল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

দিরাই উপজেলা সদর অংশে একদিকে ১৩৩ ও অন্যদিকে একশ মিটার সংযোগ সড়কের উভয় পাশে গাইডওয়াল নির্মাণের পর ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি ভরাট করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর শুরু হয় ইট বিছানোর কাজ। তবে এরই মধ্যে উপজেলামুখী সংযোগ সড়কের পূর্বদিকের গাইডওয়ালটি প্রায় দেড় ফুট হেলে গিয়ে ধনুক আকার নিয়েছে। বাজারমুখী সংযোগ সড়কের পশ্চিম দিকও অনেকটা হেলে গেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সংযোগ সড়কের মাটি খুঁড়ে রড দিয়ে একপাশের গাইডওয়ালের সঙ্গে অন্যপাশের গাইডওয়াল টেনে দেয়ালটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেতুর অন্য পাড়ে ৬০ মিটার গাইডওয়াল নির্মাণ করা হলেও সেখানে নামমাত্র মাটি ভরাট করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

এলজিআরডি কার্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজ শেষ করার চিঠি পাঠানো হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।

অ্যাপ্রোচ সড়কের গাইড ওয়াল হেলে পড়ায় কালনী সেতু ব্যবহার নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিনুর ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিরাইয়ের কালনী নদী পাড়ের মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য সেতুটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই রাস্তার গাইডওয়াল হেলে পড়ায় আমরা হতাশ। উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গাফিলতি এবং অনিয়মের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূরুল ইসলাম-এর মালিক নুরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

দিরাই উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০ মিটার টপ সাইডের ছয় ইঞ্চি হেলে গিয়েছিল এখন সেটি ঠিক করা হয়েছে, আরও কাজ বাকি রয়েছে। জেলা থেকে ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করে গেছেন, তেমন কোনো সমস্যা হবে না।’

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ব্রিজের অ্যাপ্রোচের কাজটি গত বছরের। কাজ চলমান রয়েছে। ব্যস্ততার কারণে এখন কথা বলতে পারছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর