কুষ্টিয়া চিনিকলে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২০-২১ মৌসুমের আখমাড়াই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান জানান, শুধু কুষ্টিয়ার চিনিকলই নয় একযোগে ছয়টি মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বাকিগুলো হলো, পাবনা, পঞ্চগড়, শ্যামপুর, রংপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকল।
চলতি মৌসুমে কেরু অ্যান্ড কোম্পানিসহ মোট নয়টি মিলে আখ মাড়াই হবে। কুষ্টিয়ার যে আখগুলো রয়েছে তা দর্শনা, মোবারকগঞ্জ ও ফরিদপুর চিনিকলে দেয়া হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এদিকে গত সাত মাস ধরে বেতন পান না এখানকার শ্রমিক-কর্মচারীরা। আখ চাষিরাও দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা পান না।
সব মিলিয়ে গত ১৯ বছরে ৪৬১ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে মিলটি। মিলে উৎপাদিত ২১ কোটি টাকার চিনি আর পাঁচ কোটি টাকার চিটাগুড় অবিক্রিত পড়ে আছে।
কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে জগতি নামক স্থানে ১৯৬১ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে এটি চিনি উৎপাদন শুরু করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার একে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।
২০০১ সাল থেকে লোকসানের মুখে পড়ে কুষ্টিয়া চিনিকল। এরপর প্রতি বছরই লোকসানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিনিকলের শ্রমিকরা।