রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগের খবরে জাতিসংঘ বুধবার এক বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল ও সাম্প্রতিক তথ্য রোহিঙ্গাদের দিতে হবে যাতে তারা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভাসানচরে যাওয়ার বিষয়ে স্বাধীন ও তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এ নিয়ে জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছে। বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকার করেছে, স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি স্বপ্রণোদিত হবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়, ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের সেখানে মৌলিক অধিকার ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে যেন তারা স্বাধীনভাবে যাওয়া-আসা করতে পারে। পাশাপাশি তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জীবিকার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে ভাসানচরে কার্যকর ও নিরাপদভাবে রোহিঙ্গাদের থাকার ভিত্তি স্থাপিত হবে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রকল্পটি অনুধাবনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক পরামর্শে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ ।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একাংশকে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রাথমিক কাজ সামনে শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রস্তুতি বা তাদের শনাক্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ছিল না। স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের জ্ঞান সীমিত।