বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুজিববর্ষে আসছেন এরদোয়ান

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:২৫

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পরিকল্পনায় আগামী বছরের ১৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান করার কথা রয়েছে। সেই আয়োজনে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ঢাকা।

আগামী মার্চে মুজিব বর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান আসছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান।

তুরস্কের আন্তর্জাতিক টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই পক্ষে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করবে এরদোয়ান সরকার। অন্যদিকে ঢাকায় নির্মিত হবে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য। এর ব্যয় বহন করবে তুরস্ক।

বুধবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই পক্ষ। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে মুজিবর্ষের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে মূল অনুষ্ঠান বাতিল করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মুজিববর্ষের উদ্বোধন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পরিকল্পনায় আগামী বছরের ১৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান করার কথা রয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে তুরস্কের আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এরদোয়ানকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরানের বৈঠক

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। এতে মুজিববর্ষে আসতে না পারলেও ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধানকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এরদোয়ান মুজিববর্ষে আসতে পারেন।

সেই বিষয়টিই এখন নিশ্চিত করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এখন আমরা অনেক কমন ভ্যালুজ শেয়ার করি। আমরা আজকে আলোচনা করেছি মুজিব বর্ষ নিয়ে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তিনি আসবেন বলে সম্মতিও দিয়েছেন।'

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময় নিয়েও তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, তুরস্কের টিআরটি নামে একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেল আছে। সেই চ্যানেলে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সম্প্রচার নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়েছে।

দুই দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ আদান প্রদানের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান।

ঢাকায় রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর