বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করা হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে সাবধান করে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামে একটি সংগঠন।
ঢাকায় সমাবেশ করে সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশে যার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত তার বিরোধিতা করে এই দেশে টিকে থাকা যাবে না।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুল শহিদ কাজল বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। এখানে কোন ভেদাভেদ নেই। দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে বঙ্গবন্ধু এত কিছু করে গেছেন আজ তারই ভার্স্কয এরা ভেঙে ফেলতে চায়। এদেরকে কোনদিন ক্ষমা করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই সব পাকিস্তানের দালাল এখনও দেশের কিছু মাদ্রাসাতে টাকা দিয়ে যাচ্ছে। ওই টাকা দিয়ে তারা ধর্মের রাজনীতি করে। আমরা ৬৪ জেলায় ঐক্য গড়ে তুলে এদেরকে এইদেশ থেকে বিতাড়িত করবো। সাবধান হয়ে যান, এখনও সময় আছে আপনাদের।’
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দিয়েছিলেন ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবেন।
ভাস্কর্য নির্মাণ করা হলে টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী।
বিরোধিতার শুরু করে চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। তবে এই ইস্যুতে এখন তারা চুপ আছে।
হেফাজতের বক্তব্য আসার পরেই সরকারি দল এই ইস্যুতে মুখ খুলেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের প্রতিরোধের মুখে মামুনুল হক চট্টগ্রামে মাহফিলে যোগ দেননি। আর সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সুর নরম করে বলেছেন, এই ইস্যুতে তিনি সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ যাবেন না।
প্রজন্ম লীগের সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন উক্তি আর কথা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পাকিস্তানের মৌলবাদীরা আগেও ছিল, এখনো আছে। তারা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে যেন ধর্মকে ব্যবহার করে অরাজকতা করতে পারে।’
মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম মহিউদ্দিন ফারুখী বলেন, ‘আপনারা সুস্থ ধারার রাজনীতি করেন। কোন ধরনের অপপ্রচার আর উস্কানিমূলক কথা আমরা সহ্য করবো না। মাঠে থাকেন আমরাও মাঠে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন ঘৃণামূলক কথা যারা বলে তাদের সাথে আসলে কোনকিছুই করা সম্ভব না। উস্কানিমূলক কথা পরিহার করুন। ভার্স্কয আর মূর্তি নিয়ে রাজনীতি করবেন না আপনারা।’